কক্সবাজার, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য পরিবার পরিকল্পনা কৌশলপত্র উদ্বোধন

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য পরিবার পরিকল্পনা কৌশলপত্র ২০২২-২৫ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এই কৌশলপত্র উদ্বোধন করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আশরাফী আহমেদ বলেন, পরিবার পরিকল্পনার সেবাকে আরও সহজপ্রাপ্য ও সুলভ এবং পছন্দসই করার ক্ষেত্রে ২০২২-২৫ –এর এই বহু বার্ষিক কৌশলপত্র মানবিক কাজে কর্মরত অংশীদারদের দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লোখুস বলেন, রোহিঙ্গা নারীদের মাঝে পরিবার পরিকল্পনার বাড়তি চাহিদা থেকে প্রতীয়মান হয়, স্বেচ্ছায় সেবাগ্রহণ, অধিকারভিত্তিক এবং মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার কৌশলসমূহ তাঁদের জীবন উন্নত করার কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস বৃহৎ পরিসরে নারীদের জন্য সমন্বিত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, পরিবার পরিকল্পনা নারীদের ক্ষমতায়ন করে এবং তাদের পরিবারকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে সহায়তা করে।

রোহিঙ্গা নারীদের জন্য স্বেচ্ছাসেবামূলক পরিবার পরিকল্পনা সেবা বাড়াতে কৌশলপত্রটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ইউএনএফপিএ এবং সহযোগী অংশীদারদের একটি যৌথ প্রচেষ্টা।

এই কৌশলপত্রে রোহিঙ্গা এবং পার্শ্ববর্তী স্থানীয় (হোস্ট) সম্প্রদায়ের নারীদের মধ্যে কমিউনিটিভিত্তিক পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপারে সম্পৃক্ততা এবং সেবাকেন্দ্রভিত্তিক পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের মাধ্যমে আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিসমূহের চাহিদা বাড়ানোর ওপর একটি রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ইউএনএফপিএ’র কারিগরি সহায়তায় এবং কক্সবাজার হেলথ সেক্টর ও এসআরএইচ ওয়ার্কিং গ্রুপের অংশগ্রহণে এই কৌশলপত্র গত বছরের অক্টোবরে অনুমোদিত হয়।

ক্যাম্পে কর্মরত স্বাস্থ্য খাতের অংশীদারেরা সেখানকার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং নারীবান্ধব সেবা কেন্দ্রগুলোতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে। গত পাঁচ বছরে পরিবার পরিকল্পনা সেবার চাহিদা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। শুধু ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতি গ্রহণে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা ১৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

পাঠকের মতামত: